অভিব্যক্তি
আজিজ আহমেদ সাদেক রেজা
আজিজ আহমেদ সাদেক রেজা
কি করে বুঝবো তোমায়
আমার বেঁচে থাকার সমস্যাটা
সমুদ্র ফেনায় ভেসে থাকা
সফেন মুকুটের মত স্বচ্ছ
অথচ-
আঁকড়ে ধরে রাখা যেমন কঠিন
ঠিক তেমনি।
কি করে বুঝবো তোমায়
আমার সুখ-দুঃখের কথা
বৈশাখী ঘূর্ণিঝড়ে হারিয়ে যাওয়া
শালিক শাবকের ক্রন্দন
অথবা -
নির্জন দুপুরে বুনো ফুল
কুড়াতে গিয়ে পথ ভূলে
বিহ্বল হাটাহাটির মত অস্থিরতা।
কি করে বুঝাবো তোমায়
আমার হৃদয়ের ব্যাথা
প্রচন্ত গ্রীষ্মের রোদে
অথর্ব ফনি মনসার নিথর
দাঁড়িয়ে থাকা
কিংবা-
বেদুঈন বালকের মত
মরিচিকার পিছনে
নিঃস্ফল ছুটাছুটির মত কষ্ট।
আজিজ আহমেদ সাদেক রেজা
সে এসেছিল
হেমন্তের শেষে শীতের শুরুতে
কাঠ-মল্লিকা আর দোপটির ডালি হাতে।
সে এসেছিল-
সোনালী রোদে ভেজা অশ্বথ শাখে
শালিক শাবকের ডাকে।
সে এসেছিল-
শিশির ভেজানো নরম ঘাসের বুকে
নগ্নপদে।
পালক জড়ানো জ্যোৎনা রাতে
সঙ্গোপনে।
সে এসেছিল-
গাঁয়ের মেঠো পথে শুকনো পাতার
ধ্বনিতে
কচি কলাপাতার ওড়না উড়ানো
মাঠে।
সে এসেছিল-
মদির স্বপনে, মনের মিনারে
নিশুতি রাতে।।
আজিজ আহমেদ সাদেক রেজা
অবশেষে তুমি এলে
কেন এলে?
আমার ক্ষত-বিক্ষত রাতটা কেটে গেছে
বাইরের ভারী বর্ষণ থেমে গেছে
বহু আগে।
বাতাসের গোংড়ানীটা এখন আর নেই
লাইট পোস্টের বাতি গুলি জলে উঠেছে
আবারো একে একে।
ঠিক তখনি তুলি এলে
কেন এলে?
আমার হৃদয়ের হাহাকার তেমনি
আর নেই
নেই কোন অস্তিরতা।
একটু পরই ভোর হবে
সূর্যে উঠবে
পাখি গাইবে
শহরটা মেতে উঠবে কর্মব্যস্ততায়।
সবই চলবে স্বাভাবিক নিয়মে।
ঠিক অমনি মুহুর্তে
তুমি এলে
কেন এলে?
আজিজ আহমেদ সাদেক রেজা
নৌকোর পাল তুলে বসে আছি
ছাড়তে বলোনা কেন?
এভাবে আর কতকাল চলবে
এক দু’তিন করে কতটা বছর কেটেছে
জানো?
বাতাসের জোর থেকে গেলে
পাড়ি দেয়া হবে না আর।
যেতে যে হবে অনেকটা পথ
সময় তো আর বেশী নাই।
সবাই চলে গেল
একে-একে।
শিমুল তলার সখীরা এখন আর কেউ নেই।
নিবিড়তার সাথে মিশে গেছে
বহু আগে।
জংলী জটলা কেউ বসে না
এখন।
শুধু আমি পড়ে আছি
মাস্তুলে হাত রেখে।
কিসের দ্বিধা?
কোথায় তোমার ভয়, সংকোচ?
নাই যদি যাবে, বলে দাও
চলে যাবো একা
-শুধু একা।
অপেক্ষা আর ভাল লাগে না।
আজিজ আহমেদ সাদেক রেজা
অবশেষে তুমি এলে
কেন এলে?
আমার ক্ষত-বিক্ষত রাতটা কেটে গেছে
বাইরের ভারী বর্ষণ থেমে গেছে
বহু আগে।
বাতাসের গোংড়ানীটা এখন আর নেই
লাইট পোষ্টের বাতি গুলি জলে উঠেছে
আবারো একে একে।
ঠিক তখনি তুলি এলে
কেন এলে?
আমার হৃদয়ের হাহাকার তেমনি
আর নেই
নেই কোন অস্থিরতা।
একটু পরই ভোর হবে
সূর্যে উঠবে
পাখিগাইবে
শহরটা মেতে উঠবে কর্মব্যস্ততায়।
সবই চলবে স্বাভাবিক নিয়মে।
ঠিক অমনি মুহুর্তে
তুমি এলে
কেন এলে?
আজিজ আহমেদ সাদেক রেজা
নৌকোর পাল তুলে বসে আছি
ছাড়তে বলোনা কেন?
এভাবে কতকাল চলবে
এক দু’তিন করে কতটা বছর কেটেছে
জানো?
বাতাসের জোর থেকে গেলে
পাড়ি দেয়া হবে না আর।
যেতে যে হবে অনেকটা পথ
সময় তো আর বেশী নাই।
সবাই চলে গেল
একে-একে।
শিমুলতলার সখীরা আর কেউ নেই।
নিবিড়তার সাথে মিশে গেছে
বহু আগে।
জংলী জটলা কেই বসে না
এখন।
শুধু আমি পড়ে আছি
মাস্তুলে হাত রেখে।
কিসের দ্বিধা?
কোথায় তোমার ভয়, সংকোচ?
না-ই যরি যাবে, বলে দাও
চলে যাবো একা
-শুধু একা।
অপেক্ষা আর ভাল লাগে না।
আজিজ আহমেদ সাদেক রেজা
হঠাৎ তার সাথে দেখা
শরতের শেষ বিকেলে
অস্তাচলে ঢলে পড়া সূযর্লাল-বিন্দুটির মত।
এ যেন শান্ত দীঘির চল
নির্বাক হয়ে দেখছিল-
অসম্ভব দাম্ভিকতাকে লুকাবার
কি দারুন! প্রচেষ্টা।
যেন একটু বুঝতে না পারি।
ওর অভিনয়ের প্রকাশ: ঢং
এমনি ছিল।
আর একটু হলেই রক্ত রক্ষণ
হয়ে যাবে হৃদয়ে।
জোয়ার মসৃনতার মতন
অতীত স্মৃতিতে বেমালুম ভূলে
গেছে।
এর একটুও দাগ/চিহ্ন নেই
কোন খানে।
তাই-
অর্বাচীন কোন নতুন আগন্তকের
সাথে যেমনটি ঘটে
ঠিক তেমনটি ঘটে ছিল
আমারই সাথে।
সেই শরতের শেষ বিকেলে।
আজিজ আহমেদ সাদেক রেজা
হৃদয়ের সমস্ত সত্ত¡া জুড়ে
তোমার প্রবেশের কথা কেউ জানলো
না;
এমন কি আমিও।
তোমার এ চলার গতি ছিল
খুবই ধীর, মন্থর।
যা-
সবার চোখকে ফাঁকি দিল
এমন কি আমাকেও
তোমার চলার পদধ্বনি কেউ
শুনেনি; শুনেনি তোমার কণ্ঠস্বর;
বুঝেনি কেহ ভাবগতি।
এমন কি আমিও নিজেও।
তুমি পাহাড় থেকে নেমে আসা
ঝর্ণার মত, আলতো পায়ে এসেছো
ও চলার কথা পাথর, নূড়ি
যেমন বুঝোনি; বুঝেনি দু’পাশের
ঝিল্লি লতা
এমন কি আমিও
ঠিক-
যখনই বুঝেছি
তখন তুমি অনুপ্রবেশ করে আছো।
আমার সমস্ত অস্তিত্বের মাঝে
মিশে আছো শিরা-উপশিরায়
যেন
পারস্পরিক প্রতিচ্ছবি স্বরূপ।
আজিজ আহমেদ সাদেক রেজা
হঠাৎ তার সাথে দেখা
শরতে শেষ বিকেলে
অস্তাচলে ঢলে পড়া সূর্য্যরে
লাল-বিন্দুটির মত।
এ যেন শান্ত দীঘির চল
নির্বাক হয়ে দেখছিল-
অসম্ভব দাম্ভিকতাকে লুকাবার
কি দারুন! প্রচেষ্টা।
যেন একটু বুঝতে না পারি।
ওর অভিনয়ের প্রকাশ: ঢং
এমনি ছিল।
আর একটু হলেই রক্ত রক্ষণ
হয়ে যাবে হৃদয়ে।
জোয়ার মসৃনতার মতন
অতীত স্মৃতিতে বেমালুম ভূলে
গেছে।
এর একটুও দাগ/চিহ্ন নেই
কোন খানে।
তাই-
অর্বাচীন কোন নতুন আগন্তকের
সাথে যেমনটি ঘটে
ঠিক তেমনটি ঘটে ছিল
আমারই সাথে।
সেই শরতের শেষ বিকেলে।
আজিজ আহমেদ সাদেক রেজা
হৃদয়ের সমস্ত সত্ত¡া জুড়ে
তোমার প্রবেশের কথা কেউ জানলো
না;
এমন কি আমিও।
তোমার এ চলার গতি ছিল
খুবই ধীর, মন্থর।
যা-
সবার চোখকে ফাঁকি দিল
এমন কি আমাকেও
তোমার চলার পদধ্বনি কেউ
শুনেনি; শুনেনি তোমার কণ্ঠস্বর;
বুঝেনি কেহ ভাবগতি।
এমন কি আমিও নিজেও।
তুমি পাহাড় থেকে নেমে আসা
ঝর্ণার মত, আলতো পায়ে এসেছো
ও চলার কথা পাথর, নূড়ি
যেমন বুঝোনি; বুঝেনি দু’পাশের
ঝিল্লি লতা
এমন কি আমিও
ঠিক-
যখনই বুঝেছি
তখন তুমি অনুপ্রবেশ করে আছো।
আমার সমস্ত অস্তিত্বের মাঝে
মিশে আছো শিরা-উপশিরায়
যেন
পারস্পরিক প্রতিচ্ছবি স্বরূপ।
আজিজ আহমেদ সাদেক রেজা
এখনো হয়নি সময় শিউলি ঝরার
উঠেনি সূর্য,
ফুটেনি ফুল,
জমেনি কঁচি ঘাসে রাতের শবনম;
দিন-দিবাকর করেনি ঘোষণা তার।
অথচ-
সে চলে গেছে-
চলে গেছে নিঃশব্দ পদ ফেলে।
এখনো জাগেনি পাখি
ডাকেনি কলরবে-
মুছেনি শেষ বিন্দু শুকতারাটার;
থামেনি ক্রন্দন নিশাচর পাখির
কাটেনি প্রহর ঘুম ভাঙ্গাবার
অথচ-
সে চলে গেছে-
চলে গেছে চুপিসারে,
স্মৃতিময় বেদনার চিহ্ন এঁকে।
আজিজ আহমেদ সাদেক রেজা
শুধু বেঁচে থাকো
বেঁচে থাকো আমারই জন্যে।
যে ফুলের গন্ধ নেই সে কি-ফোটে না?
যে পাখির কন্ঠ নেই
সে কি – গায় না?
যে কীটের মধু নেই
সেও তো বাসা বাঁধে।
স্বাদহীন ফল আর ¯্রােতহীন নদীর
কথা ভাবো।
এমনি কিছু ব্যতিক্রম হলে
ক্ষতি কি?
এ পৃথিবীতে
সমস্ত কিছু পেতে হবে
কিংবা দিতে হবে
এমনতো কথা নেই।
দু’জনার চার চোখ
মিলেমিশে এক হোক
আশায় আশায়।
তুমি থাকো।
শুধু বেচেঁ থাকো আমারই জন্যে।
আজিজ আহমেদ সাদেক রেজা
কত পথ আর কত দূরে টেনে নেবে আমায়?
র্জ্বীণ দু’টি পা আর তো
এগুতে পারে না সম্মুখে
ক্যাকটাস আর কাঁটা ঝোপ
পায়ের তলা করেছে রক্তাক্ত।
রক্তের ধারা তাই আলপনা আঁকতে ব্যস্ত।
তবুও কি টেনে নেবে সম্মুখে?
হৃৎপিন্ড আর নাড়ীর স্পন্দন
থেমে থেমে ক্লান্তির কথা প্রকাশ
করছে বারং বার।
হীম শীতল দেহখানি
হয়ে গেছে বহু আগে
ক্রমাগত রক্তক্ষরনে মস্তিক যেন
তার;
বোধশক্তি হারিয়ে ফেলেছে
অমানুষিক অত্যাচার আর পাশবিকতা
মুল্য দিতে।।
আজিজ আহমেদ সাদেক রেজা
শেফালী, বকুল কিংবা হাহেনার মত
আমার-
হৃদয়ের কাছাকাছি এলে,
দেখবে-
আমার অনুভূতি কত প্রখর।
পুষ্পের মৌন ঘ্রাণ
আর
শীতের সোনালী রোদের আমেজকে
যে ভাবে সাড়া দেই
ঠিক-
তোমাকে তাই দেবো।
টুপ টাপ জল-ঝড়ে
আমি-
আমার অস্তিত্বকে খুঁজে পাই
তেমনি-
তোমার মাঝে খোঁজে নেবো,
আমার
একাকী নির্জণতার অস্তিত্বকে।
শুধু তুমি এলে,
কাছে এলে।
আজিজ আহমেদ সাদেক রেজা
বৈশাখী খর-রৌদ্দুরে সিক্ত পৃথিবীটা
যখন; প্রশান্তির প্রত্যাশায় উন্মচিত
কল্পনা করে
এক পলসা বারী বর্ষণ।
চাই-
একট জল
একটু শান্তি
একটু স্বস্থির নিঃশ্বাস।
ঠিক-
এমনি কিছু পাবার প্রত্যাশায়
ছুটে চলে
গতির অগ্রভাগে
সময় থকে সময়ান্তে,
যা থেকে বেড়িয়ে আসে
কিছু অভিমান
কিছু প্রতিশ্রæতি
কিছু ভয়
আর আনন্দের সংমিশ্রিত ফসল।
তারপর
অনাবিল সুখ আর সুখ
নেই ক্লান্তি
নেই পরিসমাপ্তি
নেই কোন অভিযোগ
অথচ
সে মুখই ঠেলে দেয়
পিচ্ছিল কর্দামাক্ত পথে
কি বিভৎস
কি ভয়ঙ্কর
কি দুর্দান্ত প্রলংকর
এখানে চলে না কোন আপোষ
সন্ধি কিংবা মধ্যস্থ সমঝোতা
অথচ
এত সব ঘটে যায়
শুধু একটু ছোট ভুলেরই জন্য।
আজিজ আহমেদ সাদেক রেজা
লজ্জা-
এ যেন কাঁচের চূড়ি
টুনটান শব্দ কর, অথচ
ধরতে গেলেই চুরমার হয়ে যায়।
লজ্জা-
এর রঙ কি? লাল! নীল!
কিংবা হলুদ?
অথচ কোনটাই নয়।
তবুও লজ্জা- করে, লজ্জায় মাথা কাটে।
লজ্জা-
এ যেন যৌবনের অনুভব
কিশোরীর প্রথম প্রণয় শিহরন।
কোন এক তরুন আর তরুনীর।
অবগত নীবিড় অনুভুতি।
লজ্জায়-
কেউ পায় আনন্দ, কেউ বা পায় দুঃখ
আর-
এ লজ্জাকে লুকুতে পথ বেছে নেয়
মৃত্যুর।
লজ্জা-আছে বলেই তো
সৌন্দর্য্য আর আকর্ষণ মানুষকে
তেড়ে আনে
জীবনের মধুময় আনন্দের বহতায়
এ লজ্জাই-
মানব মানবীরে সচেতনাকে জাগ্রত করে
সৎ অসৎ আর
ভাল মন্দের
পার্থক্য খোঁজার।
ইচ্ছে ছিল
সবুজ ঘাসের মত
হৃদয়টাকে বিলিয়ে দেবো
সকাল বেলার শিউলী ঝরা